প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

টি.এম.সি হাই প্রতিষ্ঠার ঐতিহ্য ১৯৭২ ইংরেজি সনে টি.এম.সি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা যেন ববৈয়াবাসীর ভাগ্যাকাশের গোড়াপত্তন। জুনিয়র হাই স্কুল হিসাবে শুভ সূচনা হয় প্রতিষ্ঠানটির। প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টা এবং মূল পরিকল্পনাকারী ববৈয়া নামক জনপদের অগ্রদূত মরহুম জনাব শামসুল হক চৌধুরি বি.এ(ডিষ্ট)। তিনি ব্রিটিশ আমলে জম্মগ্রহণ করেন এবং সময়ের পরিক্রমায় বাঁশখালী উপজেলায় বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয় হতে এন্ট্রাল (বর্তমান এস.এস.সি.) এবং চট্টগ্রাম সরকারি মহাবিদ্যালয় হতে এইচ.এস.সি. পাশ করেন। সর্বোপরি ১৯১৯-২০ সালে কলকাতা বিশ^বিদ্যালয় হতে কৃত্তিত্তে¡র সালে বি.এ (তক) পাশ করেন। এবং পরবর্তীতে সরকারী (খাদ্য বিভাগ) তে নিজেকে সমর্পন করেন। সরকারি চাকরিজীবি হওয়ার কারণে ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও তিনি বিভিন্ন জেলায় বদলিজনিত সরকারী দায়িত্ব পালন করতেন। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাস্তবে স্বপ্ন দেখতেন ববৈয়া গ্রামকে কিভাবে শিক্ষা দীক্ষার চলন্ত ট্্েরনে সামিল করা যায়। সেই প্্েরক্ষিতে উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল পরিকল্পনাকারী মরহুম জনাব শামসুল হুদা চৌধুরি। আর সেই পরিকল্পনাকারী সঠিক রূপায়নে মাঠ পর্যায়ের সামাজিক, প্রশাসনিক ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সমস্ত র্কার্যাদি সম্পাদনের গুরুভার অর্পিত হয় মরহুম জনাব শামসুল হুদা চৌধুরি‘র অনুজ জনাব আব্বাছ উদ্দিন চৌধুরি‘র উপর। প্রতিষ্ঠাকালীন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদের সভাপতি মনোনীত হন প্রতিষ্ঠাতা জনাব শামসুল হুদা চৌধুরি নিজের এবং প্রধান শিক্ষক/সম্পাদক হিসাবে মনোনীত হন জনাব আব্বাছ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরি। জনাব আব্বাছ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরি প্রধান শিক্ষক হিসাবে ১৯৭৮ সনে মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করলে বাস্তবে তিনি কোনো সরকারী কিংবা বিদ্যালয় প্রদত্ত অনুদান /বেতন ভাতা গ্রহন করেন নি। ১৯৭৮ সনে মরহুম জনাব শামসুল হুদা চৌধুরি সরকারী চাকরি হতে অবসর গ্রহন করলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ন্যস্ত তার (মরহুম জনাব শামসুল হুদা চৌধুরি) উপর এবং অপরপক্ষে মরহুম জনাব আব্বাছ উদ্দিন চৌধুরি তৎসময় সভাপতি হিসাবে দায়িত গ্রহন করেন। একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সেই সময় সমস্ত আসবাবপএ এবং সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন ছিল সেগুলো মরহুম শামসুল হুদা চৌধুরি এবং মরহুম আব্বাছ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরি‘র পরিবার থেকে যোগান দেয়া হয়। সেই সময় শিক্ষকদের বেতন, দাপ্তরিক ব্যয় এবং অন্যান্য বহুমাএিক ব্যয় নির্বাহে সাধ্যানুযায়ি এলাকাবাসী নগদ অর্থ এবং ক্ষেএ বিশেষে ধানের মৌসুমে ধান দিয়েও সহযোগিতা করেন - যা উল্লেখ করার মতো। তবে বাস্তবিক ব্যায়ের নিবিখে প্রাপ্ত সাহায্য অপ্রতুল হওয়াতে চৌধুরি বাড়িস্থ “বিজার পুকুর” হতে ১০ বছর ধরে মাছ নিধনসহ বিবিধ উপায়ে মোটা অংকের অর্থের যোগান দেন। তা সত্তে¡ও ব্যয় উপযোগী আর্থিক সংকট মোকাবেলার জন্য ১৯৮০ সালে এপিলের মাঝামাঝি (বাংলা তারিখ ২রা বৈশাখ) মরহুম জনাব আব্বাছ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরি বাংলাদেশের তৎকালীন সময়ের চিএ জগতের নামী দামী ব্যক্তিত্ব অঞ্জু ঘোষ, রবিউল, টেলিসামাদ, এ.টি.এম. শামসুজ্জামানসহ অনেক গুণী ও প্রথিতযশা শিল্পীদের (কল্যানি ঘোষ, পিংছার জরিনা) পদচারনায় “রূপবান”, “সাম্পান ওয়ালা”, “সোনাবন্ধু”, নাটক/থিয়েটার - মঞ্চস্থ করার মাধ্যমে দর্শকমন্ডলী থেকে থেকে সংগৃহীত অর্থের উল্লেখযোগ্য পরিমান অর্থ বিদ্যালয়ে যোগান দেয়া হয়। মরহুম শামসুল হুদা চৌধুরি এবং মরহুম আব্বাছ উদ্দিন চৌধুরি’র যৌথ উদ্যোগের প্্েরক্ষিতে এলাকার বিদ্যুৎসাহী সম্ভবমত সহযোগিতার উদার হস্ত সম্প্রসারন করেছিলেন - যা উল্লেখ না করলে নয়। ১৯৮৮-৮৯ সালে মরহুম শামসুল হুদা চৌধুরির জীবদ্দশার বিদ্যালয়ের পাঠদান ও স্বীকৃতি হওয়ার পথে, চরম ক্রান্তিলগ্নে বিদ্যালয় যখন অন্তিত্ব সংকটের মূখোমূখী তখন মরহুম জনাব আব্বাছ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরির জৈষ্ঠ্য সন্তান জনাব মাহতাব চৌধুরি(মাসুম) এর যোগ্য নেত্বত্বে ও সুচতুর বুদ্ধিমত্তায় আউলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক জনাব বাদশা সিকদার , সমাজসেবক জনাব মোহাম্মদ হোসেন, সাবেক ইউনিয়ন পরিসদ সদস্য এবং ম্যানেজিং কমিটি’র অভিভাবক সদস্য জনাব ছালেহ আহমেদ, টি.এম.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকদফায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব পংকজ কুমার চৌধুরিসহ আরো অনেকের যথাযথ পদক্ষেপের কারণে বিদ্যালয়টি প্রাণ ফিরে পেয়েছিল যা সময়ে বাস্তবতায় স্বীকার্য। সেই সময়ে মরহুম শামসুল হুদা চৌধুরি‘র পরিকল্পনায় এবং মরহুম আব্বাছ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরি’র প্রয়োগিক বাস্তবতায় এলাকাবাসীর সক্রিয় সহযোগিতায় যে মানের বিদ্যালয় স্থাপন করতে চেয়েছিল আজকে বাস্তবতায় স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলেও এলাকার আশেপাশে প্রতিষ্ঠাত অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর চেয়ে র্পূব ববৈয়া টি.এম.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান, খেলাধুলা, এস.এস.সি. ও জি.এস.সি. পরীক্ষার, ফলাফল এবং উন্নত অবকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষাথী বান্ধব, শিক্ষাথীর প্রাচুর্যতা, সুদক্ষ ও প্রশিক্ষন প্রাপ্ত যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতের ছোয়ায় অতি নিকট ভবিষ্যাতে এই প্রতিষ্ঠান একটি সম্ভাবনাময় মেধাবী মুখ সৃষ্ঠির সমৃদ্ধ ভান্ডার হিসাবে ভূমিকা রাখবে বলে বিশ^াস করেন ববৈয়াসহ চারপাশের এলাকাবাসি। তথ্যসূএ ও সংগ্রহে : জনাব ছালেহ আহমেদ (প্রাক্তন ইউপি সদস্য) : জনাব আব্দুস ছালাম (প্রাক্তন শিক্ষক) : জনাব পংকজ কুমার চৌধুরি (প্রাক্তন শিক্ষক) : জনাব জিয়া উদ্দিন আহমেদ চৌধুরি (দাতা সদস্য).....

বিস্তারিত

Our Teacher
Video Gallery