Chairman

সভাপতির বাণী-


আসসালামু আলাইকুম, সকল সম্মনিত অভিভাবক আনোয়ারা উপজেলার বটতলী ইউনিয়স্থ পূর্ব বরৈয়া গ্রামে ১৯৭২ সালে মরহুম জনাব শামসুল হুদা চৌধুরীর বাস্তবমুখী চিন্তার অনস্বীকার্য পরিণতিতে সৃষ্টি হয় পূর্ব বরৈয়া টি.এম.সি উচ্চ বিদ্যালয় উক্ত প্রতিষ্ঠানকে পরিপূর্ণতা দানের জন্য শারীরিক, মানসিক, আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে উদার হস্ত সম্প্রসারিত করে মরহুম শামসুল হুদা চৌধুরীর সূচিত কর্মযজ্ঞকে এগিয়ে নেয়ার ত্রাণকর্তা ছিল তাঁরই অনুজ মরহুম আব্বাছ উদ্দিন  আহমদ চৌধুরী তবে কালের বিবর্তনে প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবতায় অপরাপরদের যে পূর্ণ সহযোগিতা  ছিল, তা নির্দ্বিধায় স্বীকার করতে কুন্ঠা বোধ করছি না এই গ্রামকে  শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়ে নিয়ে  যাওয়া এবং সাধারণ মানুষের জ্ঞানের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্যমাত্রা ছিল সুর্দীঘ সময়ের পথ পরিক্রমায় উন্নত যোগাযোগ, কোলাহল মুক্ত পরিবেশ, আধুনিক শিক্ষার প্রসারে প্রতিষ্ঠানটি এই জনপদে গুরুত্পূর্ণপদে  ভূমিকা রাখছে   সুন্দর মন-মানসিকতার সাহচর্যে শিক্ষিত প্রতিষ্ঠান দরদী মানুষের অংশগ্রহণে, দক্ষ যোগ্য শিক্ষকদের নিরিখে এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে আলোমূখী বাস্তবতায় প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা পরবর্তী অদ্যাবধি যাঁদের বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতঅ, শ্রম আন্তরিক পরামর্শে বিদ্যালয়টি আজকের অবস্থানে  উত্তরণ ঘটিয়েছে-তাঁদের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা অকুন্ঠ সমর্থন জানাচ্ছি যাঁরা এই প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিয়ে ইতোমধ্যে এই নশ্বর পৃথিবী হতে বিদায় নিয়েছেন-অন্তহীন আন্তরিকতায় তাদের স্মরণ করছি

আমি ১৯৮৯ সালে অত্র বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদে সহ-সভাপতি হিসেবে যুক্ত হবার মাধ্যমে অদ্যাবধি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমার সীমিত সামর্থ্যের সাধ্যমত সবটুকু দিয়ে  অত্র প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি আমি ২০০৩সাল হতে অদ্যাবধি আমার মরহুম পিতা-মাতার নামে গঠিত (আব্বাছ-হামিদা চৌধুরী কল্যাণ ট্রাষ্ট) ট্রাষ্ট হতে বেশ কয়েক দফায় প্রায় ,৫০,০০০/-(এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য টিউশন ফি বাবদ সহায়তা প্রদান করি এখানে উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালে ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক  সাহায্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে  ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ১৭১ জন শিক্ষার্থীকে  ৬১,৪৫০/- (একষট্টি হাজার চারশত পঞ্চাশ টাকা) টিউশন ফি বাবদ প্রদান করি এছাড়া বিদ্যালয় অর্থায়নে সীমানা প্রাচীর, ল্যাপটপসহ বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি ক্রয়, পর্যাপ্ত আসবাবপত্র তৈরী, পাখাসহ বিদ্যুতায়ন, মানসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে নিরলস পরিশ্রম করেছি এখানে অবশ্যই স্বীকার করতে হয় যে, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ভূমি মন্ত্রী এবং আধুনিক আনোয়ারা এবং কর্ণফুলী উপজেলার স্বপ্নদ্রষ্টা জনাব সাইফুজ্জামান চৌধুরী (জাবেদ) মহোদয়ের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ হতে ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ৪তলা ভবন প্রাপ্তির কারণে তের শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে

 

আসুন; এলাকাবাসী শিক্ষিত সজ্জ্বন, যুব সমাজ এই বিদ্যালয়টি পূরিপূর্ণতা দানের ক্ষেত্রে একে অপরের সাথে হাত মিলিয়ে গর্বিত মানুষ তৈরীর কারখানায় রূপান্তর করি   

 

মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী (মাসুম)

সভাপতি

বিদ্যালয় পরিচালন পরিষদ