ছাত্র- ছাত্রীদের আচরণবিধি ও বিশেষ নির্দেশনাবলী
১) পরম করুণাময় আল্লাহ্ তা’আলাকে স্মরণ করে সকল কাজ আরম্ভ করা মঙ্গল।
২) জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক প্রাত্যহিক সমাবেশে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। স্কুল কার্যক্রম শুরু হওয়ার ১৫ মিনিটি পূর্বে স্কুলে আসবে। এছাড়া মাসিক মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করা যুক্তিযুক্ত।
৩) শ্রেণী শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। শ্রেণী প্রতিনিধির আদেশ, নিষেধ প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পালন করতে হবে। শ্রেণী বিশৃঙ্খলার জন্য প্রতিনিধি দায়ী থাকবে।
৪) বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে লেখা, মেঝে বা দেওয়ালে থুথু ফেলা, অশ্লীল উক্তি করা, বারান্দায় দৌড়াদৌড়ি করা ইত্যাদি পরিত্যাজ্য।
৫) জিন্সের প্যান্ট ও গেঞ্জি পরিধান সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
৬) বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলকালীন সময়ে এক বা একাধিক শিক্ষার্থী বিনানুমতিতে বারান্দায় কিংবা বিদ্যালয় চত্বরে ঘোরাফেরা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ক্লাশ চলাকালীন কোন শিক্ষার্থীকে সীমান প্রাচীরের বাইরে কিংবা দোকানে দেখা গেলে ৫০.০০ টাকা (প্রতিবার) জরিমানা আদায় করা হবে।
৭) বিদ্যালয়ে যাবতীয় সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রমের রীতিমত অনুশীলনের ব্যবস্থা আছে। সহ পাঠক্রমিক কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক।
৮) বিদ্যালয়ে নিয়মিত খেলাধুলার ব্যবস্থা আছে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন, মিলাদ মাহফিল, বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা আছে। পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের মাধমে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরষ্কৃত করা হয়।
৯) দরিদ্র কিন্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা বেতন / অর্ধ বেতনে অধ্যয়নের ব্যবস্থা আছে। বিভিন্ন বেসরকারী, তফসিলি ও প্রতিবন্ধী বৃত্তি চালূ আছে। প্রতি শ্রেণীতে প্রতি শাখায় রোল নং ১ হতে ১০ পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থী বেসরকারী বৃত্তিতে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। বেসরকারী বৃত্তিতে অংশগ্রহণ না করলে বিদ্যালয়ের অধীনে সরকার প্রদত্ত উপবৃত্তি স্থগিত করা হয়।
১০) বিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃঙ্খলার পরিপন্থী, নৈতিকতা বিরোধী কাজের জন্য অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের কঠোর শাস্তিদান এমনকি বিদ্যালয় হতে বহিষ্কারের বিধান আছে। এক্ষেত্রে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
১১) শিক্ষক- অভিভাবকের পরোক্ষ যোগাযোগ ও শিক্ষার্থীদের পাঠোন্নতির জন্য দিনলিপি সরবরাহ করা হয়। লেখাপড়া ও আচার-আচরণের অগ্রগতি সম্পর্কিত বিষয়ে শ্রেণী
১২) ভর্তির সময় আবেদনের সাথে বদলী সনদপত্র (টি.সি) প্রশংসা পত্র, জন্ম নিবন্ধন, পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র ও প্রয়োজনীয় পাসর্পোট সাইজের ছবি দাখিল করতে হয়।
১৩) ষষ্ঠ শ্রেণীর ক্রমমান নির্ধারণী পরীক্ষায় মেধার ভিত্তিতে মোট ছয়জনকে কৃতিত্বের জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।
১৪) অধ্যবসায়ী ও পরিশ্রমী হবে। সফলতার জন্য আল্লাহর জন্য আল্লাহর কাছে ভরসা রাখবে এবং সাহার্য প্রার্থনা করবে।
১৫) শ্রেণীকক্ষে শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখবে।
১৬) কোন শিক্ষার্থী বিশেষ কারণবশতঃ অনুপস্থিত হলে পরের দিন প্রকৃত অভিভাবকের স্বাক্ষরযুক্ত দরখাস্ত শ্রেণী শিক্ষকের কাছে জমা দিবে।
১৭) শ্রেণীকক্ষের ময়লা-আবর্জনা, টিফিনের বর্জ্য ইত্যাদি ক্লাসে রাখা ঝুড়িতে ফেলতে হবে।
১৮) টিফিন পিরিয়ডের পর সতর্ক ঘন্টা বাজার সাথে সাথে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করবে।
১৯) স্কুলের সরকারী সম্পদ কেউ নষ্ট করবে না, কোন সম্পদ নষ্ট হতে দেখলে বাঁধা দিবে এবং কর্তৃপক্ষকে তৎক্ষনাৎ জানাবে।
২০) খেলাধুলা এবং বিদ্যালয়ের যে কোন অনুষ্ঠানে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখবে, অনুষ্ঠানকে সুন্দও ও সফল করতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবে।
২১) নিয়মিত পড়া শিখে স্কুলে আসবে এবং বাড়ির কাজ কওে আনবে।
২২) শ্রেণীতে পাঠদানের সময় মনোযোগ সহকাওে শুনবে এবং বুঝতে চেষ্ঠা করবে। কোন পাঠ ভাল করে বুঝতে না পারলে আবার বুঝিয়ে দিতে শিক্ষককে অনুরোধ করবে।
২৩) পরীক্ষার হলে কোনভাবেই অসদ উপায় অবলম্বনে চেষ্টা করবে না। কথাবার্তা বলবে না। বইপত্র ও লেখা কোন কাগজ সঙ্গে আনবে না।
২৪) ঘন্টা পড়ার ৪/৫ মিনিটের মধে যদি কোন শিক্ষক কোন কারণে শ্রেণীকক্ষে না আসেন, তাহলে শ্রেণী মনিটর শ্ক্ষিক /প্রধান শ্ক্ষিককে অবহিত করবে।
২৫) স্কুল খোলার ও বন্ধের তারিখে কোন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকতে পারবে না।
২৬ ছুটির ঘন্টা বাজলে কোনক্রমেই শোরগোল তোলা যাবে না। ছুটির পর শ্রেণীকক্ষের লাইট, ফ্যান বন্ধ করে সকল ছাত্রী সারিবন্ধভাবে শ্রেণীকক্ষ ত্যাগ করবে।